আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:- ১০

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:- ১০

 

 

অতিরিক্ত ভয়

(১০০) বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে অনেকের অতিরিক্ত ভয় থাকে। এ ভয় থেকে বাস্তবে কোনো অর্জন আসে না আর এ ভয় কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়ও নয়। শুধুই সময় নষ্ট করার এমন ভয় থেকে দূরে থাকাই ভালো। ভবিষ্যৎ বিষয়ে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন কিন্তু যে বিষয়ের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই সে বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

নিজেকে ঘৃণা

(১০১) প্রত্যেকের জীবনেই কিছু ক্ষেত্র থাকে দুর্বল বা অনুন্নত, যেসব ক্ষেত্রে উন্নতি করা সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন এবং নিজের ভুলগুলোকে তুলে ধরেন তাহলে তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনে না। নিজের দোষ-ত্রুটি ইত্যাদিকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে ঘৃণা করার কোনো প্রয়োজন নেই। নিজেকে ভালোবাসতে হবে এবং তাহলে অন্যদের ভালোবাসাও পাওয়া যাবে।

নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্য

(১০২) নিজেকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনি যদি অন্য কারো মনমতো হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তা কোনো ইতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি করে না। আপনি যেমন, তেমনই থাকুন কিংবা নিজের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পরিবর্তিত হওয়ার চেষ্টা করুন। কিন্তু অন্য কারো পছন্দ-অপছন্দের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করার কোনো প্রয়োজন নেই।

ওছিলা

(১০৩) আপনি নিজের ওজন কমাতে চান কিংবা বাড়াতে চান, স্কুলে যেতে চান কিংবা বিশ্বভ্রমণ করতে চান। কিন্তু এসব বিষয় নিজেই যদি নানা ওছিলায় বাদ দিয়ে দেন তাহলে তা নিজেরই ক্ষতি। কারণ নিজের ওজর-আপত্তিতে আপনি কাজগুলো থেকে বিরত থাকলেন এবং বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হলো না। এক্ষেত্রে নিজে যতোটা ওজর-আপত্তি দেখাবেন, ততোই নিজের ক্ষতি করবেন।

অতীতের ভুল

(১০৪) মানুষ মাত্রই ভুল করে। পৃথিবীতে কেউই সম্পূর্ণভাবে নিখুঁত নয় এবং এ ভুল করাও অস্বাভাবিক নয়। এ কারণে নিজের অতীত ভুলকে স্বীকার করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। এরপর লক্ষ্য রাখার বিষয় হলো, এ ভুল যেন আর না হয়।

সবাই আপনার চেয়ে সহজেই অর্জন করেছে

(১০৫) অন্য কারো অর্জন দেখে মনে হতে পারে যে, তা খুব সহজেই সে অর্জন করেছে। কিন্তু বাস্তবে তার পেছনের কাহিনী হতে পারে অনেক কঠিন, যা প্রকাশিত হয়নি। তাদের তুলনায় আপনার পরিশ্রম ও কষ্ট বেশি বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকের জীবনেই নানা প্রতিবন্ধকতা আসে। এ প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠে সবাইকেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়।

নিজেকে তুলনা করা

(১০৬) অন্যকারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের মতো বিষয়। অন্য মানুষের যা আছে তা আপনার নেই, আবার আপনার যা আছে তা অন্য মানুষের নেই। এ কারণে সব বিষয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে নিজের অবমাননা করার কোনো প্রয়োজন নেই।

মনের কথা শুনুন

(১০৭) নিজের সহজাত বুদ্ধি-বিবেকের ওপর নির্ভর করুন। কারণ এসব আপনাকে কখনো ভুল পথে পরিচালিত করে না। অনেক কাজই আছে যা করতে গেলে মনের মধ্যে অস্বস্তি কিছু কাজ করে। মনের এই অস্বস্তি ধরার চেষ্টা করুন।

সময়ের সঙ্গে থাকুন

(১০৮) ত্বরিত গতিতে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়, সেখানেই ভুল হওয়ার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে যে সকল কাজে দুই পক্ষ ক্রিয়াশীল থাকে সে সকল ক্ষেত্রে দ্রুত করার কাজের তাগাদা থেকেই যায়। ভালো সিদ্ধান্ত নিতে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রয়োজন হয়। কাজেই সময় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন।

ভুল মানুষের সঙ্গে সময় নষ্ট করবেন না

(১০৯) ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে অনেক মানুষের সঙ্গে উঠা-বসার প্রয়োজন পড়ে। এ সকল ক্ষেত্রে ভুল মানুষের সঙ্গে সময় দিলে হিতে বিপরীত হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সময় দিতে গেলে বিবেচনা করে নিবেন মানুষগুলো ঠিক আছে কিনা। নয়তো ভুল মানুষের সঙ্গে সময়ের অপচয় হবে।

আপনি যতোই চান, অনেক কিছু নাও হতে পারে

(১১০) অনেক কিছু রয়েছে যা আপনি মনে-প্রাণে চাইবেন। এ জন্য সবকিছু দিয়ে কাজও এগিয়ে নিয়ে যাবেন আপনি। কিন্তু যতোই ঠেলুন, কিছু কাজ হয়তো কখনোই হবে না। এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। কিছু কাজ কখনোই হওয়ার নয়। তার পেছনে অতিমাত্রায় শ্রম দিয়ে লাভ নেই।