আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:- ১৪
উদার মনমানসিকতা
(১৪৪) উদার মনোভাব আপনার দিনটিকে করে তুলতে পারে একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনে। মানুষের সাথে কথা বলার সময় একটু হাসি দিয়ে কথা বলুন। সদা হাস্যোজ্জল চেহারা আপনাকে করে তুলবে সবার প্রিয় মানুষে।
আশাবাদী হওয়া :
(১৪৫) সবার শেষে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে, সবসময় নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করতে হবে। হতাশা বৃদ্ধি করে এমন সব ব্যক্তি বা বস্তুর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকাটাই নিরাপদ।
নিজের সবলতা এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা রাখা :
(১৪৬) নিজের শক্তিশালী এবং দুর্বল দিকগুলো জানতে পারলে দুর্বল দিকের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। নিজেকে যতক্ষণ সম্পূর্ণভাবে না জানতে পারা যাবে ততক্ষণ ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা কখনই জেগে উঠবে না।
কঠিন সময়ে হাসা :
(১৪৭) হাসিকে বলা হয় সর্বোত্তম ওষুধ। তবে কষ্টের মুহূর্তগুলোতে মানুষ হাসতে পারে না। সেই সময় আমাদের সুখের সময়গুলোর দিকে মনযোগ দেওয়া উচিৎ। নেতিবাচক ধারণা বদলাতে পারলে সে সময়ও ভেঙে পড়ে না মানুষ। তাই মনের মধ্যে নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখা উচিৎ।
শেখার আগ্রহ তৈরি করা :
(১৪৮) প্রতিদিনের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কিছু না কিছু শিখি। ব্যক্তিত্ব গঠনে সবচেয়ে কার্যকর শিক্ষা অর্জন করা। আত্মবিশ্বাস তৈরি হতে পারে যদি ব্যক্তির ভুল থেকে শিক্ষার্জন করার অভ্যাস থাকে। তাই জীবন থেকে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে অবশ্যই নোট রেখে ভুলগুলোকে চিহ্নিত করে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
পরিবর্তন হওয়া :
(১৪৯) নোট করে প্রতিদিনের কাজগুলো থেকে ভুল চিহ্নিত করে তা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। এভাবে প্রতিদিন একটি করে ভুল শুধরাতে থাকলে নিজের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন আসতে থাকবে। তাই নতুন নতুন বাধা আসলে তাকে মোকাবেলা করার জন্য নিজের মধ্যেই পরিবর্তন আনতে পারা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির একটি ভালো উপায়।
প্রভাবিত করতে পারে এমন উক্তি পরুন
(১৫০) একমাত্র সেই কোন ভুল করে না, যে কিছুই করে না। (বাংলাতে রুপান্তরিত) এই উক্তিটা পড়ার পর আমার মনে হয় সবার ভিতরে একটাই অনুভুতি আসবে যে ভুল করাটাই স্বাভাবিক। এটার জন্য ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। এরকম হাজারো উক্তি পাওয়া যাবে যা নিয়মিত পরলে আপনি উপলন্ধি করতে পারবেন, যারা সফল হয়েছে অথবা ছিল তারা সবাই আপনার আমার মত সাধারন মানুষ ছিলেন। আপনার আমার মতই সমস্যা এবং ভুল এর মধ্যে থেকেই তারা এগিয়ে গিয়েছে। তাই আপনি এবং আমিও পারবো এগিয়ে যেতে। কি আত্মবিশ্বাস কি একটু বাড়ছে?
সাক্ষাতকার
(১৫১) আমি সবসময় সাক্ষাতকার দেখতে পছন্দ করি। এটার মুল কারন হচ্ছে, সাক্ষাতকার এর মাধ্যমে অনেক লুকায়িত সত্য এবুং দিকনের্দেশনা পাওয়া যায়। আমি এখন ব্লগ পোষ্ট লিখছি, আমি তাই লিখছি যা আমি লিখতে চাচ্ছি। কিন্তু সাক্ষাতকার এ মানুষ তাই বলে যা উপস্থাপক জানতে চায়। এটা হয়ত সরাসরি কোন দিক নির্দেশনা দেয় না, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে অনেক সহায়তা করে।
না কে না বলুন
(১৫২) পারব না, এই কথাটাকে না বলুন। সমস্যা আসবে। প্রতিটা সমস্যা অনেক কষ্ট দিবে। সফলতাটাকে দূরে ঠেলে দিবে। কিন্তু সমস্যাটা আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। বসে থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনার সমস্যা এবং আপনার সপ্ন দুইটাই আপনার। তাই না কে না বলতে শিখুন। দেখবেন আত্মবিশ্বাস চলে আসবে অনায়াসে।
নিজের সিদ্ধান্তে থাকুন
(১৫৩) মনে রাখুন আপনি অন্যকে বা অন্যদের চিন্তাকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। Wayne Dyer বলেন ‘আপনি যদি ৩০ জন মানুষের মতামত গ্রহণ করেন, ৩০ রকম ভিন্ন ভিন্ন মত পাবেন, এতে আপনি আরো বেশি বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন। তাই অন্যের সিদ্ধান্তকে নিজের সিদ্ধান্ত করে তুলবেন না। নিজস্ব মতামত তৈরি করুন এবং সেটি অনুসরণ করুন।
ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া
(১৫৪) মানুষ মাত্রই ভুল করবে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। একবার করা ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই ছোট বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে দিবে অনেকখানি।