আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:-৯

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:-৯

 

 

ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া

(৮৯) মানুষ মাত্রই ভুল করবে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। একবার করা ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই ছোট বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে দিবে অনেকখানি।

যা মন চায় তাই করুন :

(৯০) আপনি কখনই ভাববেন না যে আপনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। ছোট্ট বেলার সেই শিশুটির মতই নিজেকে বিবেচনা করুন। ভাবুন আপনি কাল্পনিক জগতের ডানাযুক্ত সেই ছোট্ট শিশুটি যে দিগন্ত জুড়ে দৌড়ে বেড়াতে পারে, অকারণে যতসব ইচ্ছা নিমেষেই পূরণ করতে পারে। এভাবেই নিজের মনে যখন যা আসে তাই পূরণ করার চেষ্টা করুন।

বাচ্চাদের সাথে বেশি করে মিশুন :

(৯১) বাচ্চাদের মনটা অনেক বেশি পবিত্র। তাদের সাথে মিশলে আপনার মনটিও অনেক বেশি পবিত্র হয়ে যাবে। কোনো ধরনের জটিলতা আপনার মাঝে কাজ করবে না। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি জেগে উঠবে আর বাচ্চাদের মতই আপনার মনটি হয়ে উঠবে পবিত্র।

অসম্ভব কিছু করে ফেলুন :

(৯২) সবসময় ভাববেন কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। এই ভেবে এমন কিছু অসম্ভব কাজ করে ফেলুন যা দেখে আপনি নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এর ফলেও আপনি অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারেন।

সৃজনশীল কোনো কাজ করুন :

(৯৩) যারা ফিক্সট কোনো কাজ করেন তারা নিজের সত্ত্বাটিকে বিকাশের কোনো সুযোগই পেয়ে থাকেন না। এ কারণে আপনি পারলে কিছু সৃজনশীল কাজ করে ফেলুন। আপনার যে কাজগুলো করতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই কাজগুলো করুন।

ভালোলাগার জায়গাগুলোতে ঘুরতে যান :

(৯৪) মন ভালো থাকলে সৃজনশীল কাজ করতে ভালো লাগবে। আর তাই মনকে প্রফুল্ল রাখতে ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের জায়গাগুলোতে। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি কাজ করতে থাকবে, নিত্যদিনের কাজের চাপে তা একেবারে স্তব্ধ হয়ে থাকবে না। সার্বিকভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন।

মনোযোগ নষ্টকারী বিষয়গুলো দূর করুন

(৯৫) আপনার মনোযোগ নষ্ট করে এমন বিষয়গুলো দূরে সরিয়ে দিন। ই-মেইল, ফেসবুক ও টুইটারের মতো অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মোবাইল ফোন ইত্যাদি থাকতে পারে এ তালিকায়। আলোর ঝলকানি দেয় এমন ডিভাইস, জোরে শব্দ করে বা ভাইব্রেট করে এমন যন্ত্র দূরে সরিয়ে দিন। সুযোগ থাকলেও একসঙ্গে অনেক কাজ থেকে বিরত থাকুন।

প্রতিদিন একই সময়ে ওঠা

(৯৬) নিয়মিত কোনো কাজ করলে তা আপনার দেহের হরমোনকে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে চালিত করে। এতে দেহের উদ্যম বাড়বে এবং সকাল থেকেই কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সম্ভব হবে।

মনিটরে নয়, বাস্তবে বই পড়ুন

(৯৭) বই পড়ার অভ্যাস আপনাকে কোনো একটি বিষয়ে দীর্ঘ সময় মনোযোগ দিতে আগ্রহী করে তুলবে। কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিশ্ব আপনার জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসে না।

বড় কাজকে ছোট ছোট ভাগ করে নিন

(৯৮) বড় কাজ করতে সমস্যা হলে তা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। এতে প্রতিটি ভাগ সম্পন্ন করার জন্য পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারণ করা যাবে। কাজও সহজ হবে।

অন্যদের সব মতামত বিষয়ে ভয়

(৯৯) আপনি যদি অন্যদের মতামত বিষয়ে সব সময় চিন্তিত থাকেন, অন্যরা কি চিন্তা করছে সে ভয়ে ভীত থাকেন তাহলে তা আপনাকে বাস্তবে অকর্মণ্য করে তুলবে। অন্যদের মতামত কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেজন্য সব সময় ভয়ে থাকলে তা আপনার কর্মক্ষমতা নষ্ট করবে। এ কারণে আপনার জীবন বিষয়ে অন্যদের মতামত থাকলেও আপনার নিজের মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কাউকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না আর এ বিষয়ে ভয় থেকেও দূরে থাকতে হবে।