আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:- ১১
একটি ফোন করুন
(১১১) যেকোনো কিছু করতে হলে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। মোবাইলের এই যুগে চাইলেই মুহূর্তে কল করতে পারছেন দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে। ইমেইল দিয়েও অনেক সময় কাজ হয় না সময়মতো। কাজেই বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে ফোন তুলে নিন, একটা কল করুন। সব কাজের আগে যতোটা পারেন পরিষ্কার হয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। যতো ব্যস্ততার মাঝেই থাকুন না কেনো, আপনার পুরোটা জেনে নেওয়াটা জরুরি। আর এ জন্য ফোনের একটি কলই যথেষ্ট। কাজেই ফোনটিকে ব্যবহার করুন। কাজে এগিয়ে যান।
কখনো বলবেন না- ‘কিন্তু’
(১১২) অত্যন্ত সফল এক নারী বলছিলেন, তিনি তাঁর পেশাদার জীবন থেকে ‘কিন্তু’ কথাটা বাদ দিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি তাঁর ধারণার ওপর অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। এর ফলে তাঁর টিম মেম্বাররাও ভালো সহযোগিতা করছেন।
না চাওয়া পর্যন্ত কিছুই পাবেন না
(১১৩) ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর প্রথম বিষয়টা নজরে আনেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি কোনো কিছু না চান, তাহলে উত্তর হবে সবসময়- না।’
অভিযোগ করার আগে আরেকবার ভাবুন
(১১৪) অনেকে বলেন ‘অভিযোগ করবেন না’। খুব সমস্যা ছাড়া কারো নামে অভিযোগ করা উচিত নয়। এটা নেতিবাচক মনোভাবের বহির্প্রকাশ এবং আপনার কোনো কাজে আসবে না।
নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিষয়ই নিয়েই কাজ করুন
(১১৫) জীবনের কাজে সবসময় আপনার নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিষয়গুলো নিয়েই সময় ব্যয় করুন। যে বিষয় আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, তা নিয়ে কাজ করে কোনো লাভ নেই।
দুর্ভাগাদের সাহায্য করুন
(১১৬) যারা আপনার মতো সৌভাগ্যবান নয় বরং নানা সমস্যায় জর্জরিত, তাদের সাহায্য করুন। এটা আপনার জীবনের নেতিবাচকতা দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি যখন কোনো দুর্ভাগাকে সাহায্য করবেন তখন আপনার মনে পড়বে এ অবস্থা আমারও হতে পারতো। এরপর এ অবস্থা না হওয়ার জন্য আপনি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করবেন।
ইতিবাচক বন্ধুদের খুঁজে বের করুন
(১১৭) ইতিবাচক বন্ধুরা হতে পারে আপনার জীবনের নেতিবাচকতা দূর করার বড় শক্তি। নেতিবাচক বন্ধুদের বাদ দিয়ে ইতিবাচক বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেওয়া শুরু করুন। এতে কী লাভ হবে? তারা আপনাকে উৎসাহ দেবে এবং আপনার জীবনের ভালো বিষয়গুলো সামনে তুলে আনবে।
আদর্শ খুজে বের করুন
(১১৮) আপনি যদি ইতিবাচকতার দিকে সবেমাত্র যাত্রা শুরু করে থাকেন, তাহলে একজন আদর্শ অনুসরণ করতে পারেন। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণীয় একজন ইতিবাচক ব্যক্তিতে খুঁজে বের করে অনুসরণ করতে পারেন। তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কৌশল বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এভাবে অনেকেই ইতিবাচক হতে পেরেছেন।
ইতিবাচকতা শেখান
(১১৯) জীবনে ইতিবাচকতা ফিরিয়ে আনার একটি উপায় হতে পারে অন্যদের তা শেখানো। কীভাবে ইতিবাচক হতে হবে, সে বিষয়ে আপনার সন্তান ও পরিচিত গণ্ডিকে শেখানো শুরু করুন। এতে সফল হলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার পরিচিত গণ্ডিতে এর প্রভাব দেখতে পাবেন। ইতিবাচকতা শেখানো শুধু আপনার জীবনেই সুফল বয়ে আনবে না, অন্যদেরও ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে।
আচরণে কৃতজ্ঞ হোন
(১২০) জীবনের সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকতে হবে এবং তা সব আচরণে মনে রাখতে হবে। যখন জীবনের কোনো ভালো বিষয়ের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ হই তখনই আমরা ইতিবাচক হওয়া শুরু করি এবং সব নেতিবাচকতাকে দূরে সরিয়ে দেই। এভাবে আপনি বুঝতে পারবেন জীবনের ভালো দিকগুলোকে ভালোবাসা দারুণ একটি ব্যাপার।
আমি নিজেকে অনেক ভালোবাসি
(১২১) সব থেকে সুন্দর ও শান্তিময় একটি কথা ‘আমি নিজেকে অনেক ভালোবাসি’! এই কথাটি নিজেকে উপহার দিন প্রতিদিন। এতে করে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস পাবেন প্রতিদিনই। নতুন ভাবে বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবেন জীবনে। নিজেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা প্রত্যেক মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভালোবাসুন নিজেকে বাস্তব জীবনেও। প্রতিদিনই নিজের প্রশংসা করুন, নিজের জন্য করুন কিছু কাজ।