আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:-7

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:-7

 

 

সব সময় বিশ্বস্ত থাকুন

(৬৭) আশপাশের মানুষের প্রতি আপনি যদি বিশ্বস্ত থাকেন তাহলে তারা আপনাকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে এবং একজন নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। মানুষ আপনার কাছে জানতে চায় তাদের প্রতি আপনি বিশ্বস্ত কি না। সততা ও স্বচ্ছতা আপনার গুরুত্বের তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে, এমনটা প্রকাশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা যদি বুঝতে পারে যে, আপনি তাদের প্রতি বিশ্বত্ব তাহলে তারাও আপনার এ মনোভাবকে সম্মান করবে।

পেশাদারি বজায় রাখুন

(৬৮) টিমের সদস্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে খুবই কাছাকাছি চলে গেলে আপনার প্রতি তাদের মনে যে ইমেজ তৈরি হয়েছে তা নষ্ট হবে। ফলে পেশাদারি কাজের বদলে সম্পূর্ণ বিষয়টা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক হয়ে যাবে। এ কারণে সব সময় পেশাদারি বজায় রয়েছে কি না, তা লক্ষ করতে হবে। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এসব থেকে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সযত্নে দূরে রাখতে হবে।

লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রাখুন

(৬৯) আপনার সব কাজের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেই লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের বিভিন্ন শক্তি আপনাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনি তা হতে দেবেন না। কারণ অন্য বিষয়গুলোর দিকে মনযোগ দিলে তা আপনার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দেবে।

শিক্ষার অভ্যাস রাখতে হবে

(৭০) শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা কখনোই শেষ হয় না। শিক্ষার্থীর এ মনোভাব সাফল্যের জন্য ধরে রাখতে হবে সব সময়। আপনার আশপাশে সব সময় নানা বিষয়ে জ্ঞানী মানুষ পাবেন। তাদের কাছ থেকে কোনোকিছু শিখে নিতে দ্বীধা করবেন না। আপনার প্রতি প্রসারিত তাদের হাতকে ফিরিয়ে দেবেন না। শিক্ষা গ্রহণকে না করে দিলে আপনি অহংকারী হিসেবে পরিচিত হবেন। ফলে নেতা হিসেবে আপনার অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।

নিজের ইচ্ছার প্রাধান্য দিন

(৭১) নিজের ইচ্ছার প্রাধান্য দিন সবসময়েই। নাহলে মন থেকে কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। আপনার মন যদি কোনো ব্যাপারে সায় দেয় এবং সেটা যদি কোনো অন্যায় কাজ না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মনের কথা শুনুন। প্রয়োজনে গতানুগতিক নিয়ম ভেঙে ফেলুন।

নিজের জন্য সময় রাখুন

(৭২) নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন সবসময়েই। জীবনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও একটুখানি সময় সবসময়েই নিজেকে দেয়ার চেষ্টা করুন। এই সময়টা নিজেকে না দিলে সারাজীবন আফসোস থেকে যাবে। নিজের জন্য বিশেষ এই সময়টাতে শুধু নিজের পছন্দের কাজ করুন। নিজেকে নিজেই উপভোগ করুন এই সময়ে।

নতুন নতুন বিষয় শিখুন

(৭৩) শেখার মধ্যে আছে আনন্দ। নতুন কিছু শিখলে জীবনের একঘেয়েমি অনেকটাই দূর হয়ে যায়। তাই প্রতিনিয়তই নতুন নতুন বিষয় শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন নানান কোর্সে। নিজের শখের বিষয়গুলোতেও আরেকটু এক্সপার্ট হয়ে নিন কিছু কোর্সের মাধ্যমে। এতে জীবনটাকে অনেকটাই উপভোগ্য মনে হবে।

বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন

(৭৪) নিজের অভ্যাসগুলোর দিকে তাকান। আপনি কি একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন? সময়ের অভাবকে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে দেবেন না। তাড়াহুড়ো করে খাবার গ্রহণ বা সময় কম বলে দোকানের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করবেন না। মানসিক চাপ কমাবে এই ভেবে ধূমপান করবেন না। নিজের জীবনের রুটিনে ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আসুন। এতে বদঅভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে।

বলুন 'না'

(৭৫) অনেক সময় কাউকে 'না' বলা বা মানা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলস্বরূপ, সাধ্যের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। আর সেকারণে চাপের পরিমাণও যায় বেড়ে। নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝার চেষ্টা করুন। এমন কোনো দায়িত্ব নেবেন না যা আপনি করতে পারবেন না।

বিরক্তির বিরুদ্ধে লড়াই

(৭৬) যখন আপনি কোনো কারণে বিরক্ত থাকবেন, তখন তা আপনার কাজের ওপরেও প্রভাব ফেলবে। যদি আপনি অতিরিক্ত কাজ বা বিরক্তিকর সহকর্মীদের কারণে অধিক চাপের মুখোমুখি হন, তাহলে আপনার ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় বিরোধ এড়িয়ে চলুন এবং ততটাই কাজ করুন যতটা আপনি পারবেন।

মেনে নিতে শিখুন

(৭৭) আমাদের মানিয়ে চলার অক্ষমতা চাপ বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ। যখন আপনি এটা মেনে নিতে পারবেন যে কোনো বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তখন আর এটা নিয়ে বিক্ষ্বুদ্ধ থাকবেন না। মাঝে মাঝে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বললে তা অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবতে আপনাকে সাহায্য করবে।