আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:-6

আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায় পর্ব:-6

 

 

 

অন্যকে দিন

(৫৬) অন্যকে দিন। মনে রাখবেন আপনি যতটুকু দিবেন ঠিক ততটুকুই ফেরত পাবেন। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যর প্রতি নিজের বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন। বিনিময়ে আপনার প্রতি তার বিশ্বাসটুকু ঠিকই ফেরত পাবেন।

আমি কতটুকু আত্মবিশ্বাসী

(৫৭) নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি কতটুকু আত্মবিশ্বাসী। এবং এই আত্মবিশ্বাসটুকুর কারণ কি? সততার সাথে নিজেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। খুজেঁ পাবেন আপনার আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পথে আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো। এবার নেতিবাচক দিকগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন। আর ইতিবাচক দিকগুলো আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করুন।

কারো ব্যাক্তিত্বকে আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করুন

(৫৮) কারো ব্যাক্তিত্বকে আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করুন। হতে পারে সেটা আপনার আপনজন, বা অনেক দুরের কেউ। তার ব্যাক্তিত্বের ইতিবাচক দিকগুলো ভাবুন। তার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি খুজেঁ বার করুন। তারপর নিজের সাথে তুলনা করুন। চেষ্টা করুন তার ইতিবাচক দিকগুলোকে গ্রহন করার।

নিজের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন

(৫৯) নিজের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। হতে পারে আপনি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেন, হতে পারে আপনি ভালো গান গাইতে পারেন, হতে পারে আপনি ভালো অংক করতে পারেন, হতে পারে আপনি একজন ভালো বন্ধু, আরো অনেক কিছু হতে পারে। তার মানে আপনার মাঝে অনেক ভালো বিষয় আছে। সেগুলোর উপর জোর দিন। সেগুলোকে ভিত্তি করে হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী।

নিজের লাইফ স্টাইল বদলে ফেলুন

(৬০) নিজের লাইফ স্টাইল বদলে ফেলুন। হতে পারে এটা আপনার পোশাক-পরিচ্ছদের পরিবর্তন, হতে পারে পোশাকের রঙ পরিবর্তন, হতে পারে চুলের ষ্টাইল পরিবর্তন। অর্থাৎ নিজেকে বদলানোর ইচ্ছাটা যেমন ভিতরে ভিতরে প্রয়োজন, তেমনি সেটার বহিঃপ্রকাশও প্রয়োজন।

কখনোই বিষন্নতায় ভুগবেন না

(৬১) কখনোই বিষন্নতায় ভুগবেন না। বিষন্নতা আপনার নিজেরই সৃষ্ট একটি মানসিক রোগ। যার প্রতিকার একমাত্র আপনার হাতেই। তাই বিষন্নতা এড়িয়ে এগিয়ে চলুন সামনের দিকে।

ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে মিশুন

(৬২) ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে মিশুন। তাতে করে আপনার মনেও তার ছোঁয়া পরবে। আর যদি নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে মিশেন তাহলে তার ছোঁয়াও আপনার উপর পরবে। তাই বেছে নিন আপনার ইতিবাচক বন্ধুকে।

অতীতকে ভুলে যান

(৬৩) অতীতকে ভুলে যান। অতীতটা শুদ্ধ হোক বা ভুল, তাকে কিছু আসে যায় না। কারণ অতীতকে আপনি বদলাতে পারবেন না। বরং অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ থেকেই নতুন করে শুরু করুন, নতুন এক ভবিষ্যতের জন্যে।

সফলতা না আসা পযন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যায়

(৬৪) বাস্তব জীবনে সফল হতে কে না চায়। এর জন্য তারা জীবন ভর পরিশ্রমও করে যায়। কিন্তু এ পরিশ্রমটি যদি ভূল পথে হয় তাহলে কঠোর পরিশ্রম করলেও তা অর্থহীন। আমাদের লুকায়িত শক্তি অর্জনে, সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করনে আমাদের প্রতিটি বিষয়ে চেষ্টা করতে হবে , হতে হবে অধ্যবসায়ী । যে কোন শক্তি অর্জনে আমাদের ঐ শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । তবেই হবে , হওয়া যাবে সেই চেষ্টায় সফল। যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও গৌরবময় ক্যারিয়ার গঠনের নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা মেনে নিয়ে আরও চেষ্টা সাধনা করাটাই অধিকতর যৌক্তিক। হতাশা থেকে মানুষের মধ্যে আস্তে আস্তে নিজের উপর অনাস্থা বৃদ্ধি পেতে থাকে।নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্খিত অবস্থানে পৌছাতে না পারলেও হাল ছেড়ে দেওয়াটা চরম বোকামি। বরং বারবার প্রচেষ্টা এবং অধ্যাবসায় একজনকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের স্বর্নশিখরে।এক্ষেত্রে ধৈর্য্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া চাই। মহামনীষিদের মূল মন্ত্রই ছিল চেষ্টা এবং অধ্যাবসায়।এই মন্ত্র বুকে ধারণ করে এগিয়ে যায় সফলতা অর্জনে ব্যাকুল ব্যাক্তিরা।

সফল ব্যাক্তিরা কখনো অভিযোগ করে না।সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাসি মুখেঃ

(৬৫) অনেকেই নিয়তী কিংবা প্রকৃতিকে দোষারোপ করে থাকেন। কোনঅবস্থাতেই প্রকৃতির সাথে বিবাদে লিপ্ত হওয়া কাঙ্খিত নয়। কোনরকম অধ্যাবসায় না করে শুধুমাত্র নিয়তীর উপর ভরসা করে বসে থাকলে যেমন সফল হওয়া যায় না, তেমনি একমাত্র চেষ্টা সাধনার মাধ্যমেও সফলতা লাভের কোন নিশ্চয়তা নেই। চেষ্টা সাধনার পাশাপশি সর্বাবস্থায় প্রয়োজন নিয়তীর উপর নির্ভর করা। তাতে পরিপূর্ণ সফলতা না আসলেও ভেঙ্গে পড়ার কোন সম্ভবনা থাকে না। বরং নতুন উদ্যমে নতুন করে শুরু করার তীব্র সাহস জাগ্রত হয় মনে।সফলতা লাভে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে সাথে সমাজের অবস্থা এবং সময়ের দাবীর প্রতি লক্ষ্য রাখাটাও অত্যন্ত জরুরী। সমকালীন সময়ে প্রচলিত ধারাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাইতো সফল ব্যাক্তিরা কখনোঅভিযোগ করে না।সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাসি মুখে।

নিজের ওপর আস্থা হারাবেন না

(৬৬) জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য নিজের আআত্মবিশ্বাসের জায়গাটি আরও বাড়িয়ে তুলে সফল ব্যাক্তিরা। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করে যেন সবসময় তাদের আত্মবিশ্বাসী দেখায়। যখন আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে কেউ নিজেকে ভালভাবে জানে তখন সহজাতভাবে নিজের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি আরও বেশি মজবুত হয়ে যায়।এটি এক জাদুকরি শক্তি যা নিজের কর্মকাণ্ড এবং নিজের শক্তি-সামর্থের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বলা হয়- আত্মবিশ্বাসই সফলতার মূল শর্ত। আত্মবিশ্বাসীরা নিজের স্বপ্ন পূরণে ব্যাকুল থাকে সবসময়। হোক তা সময় সাপেক্ষ তারপর ও নিজের স্বপ্নে থাকেন অটুট ও এগিয়ে যান আপন গতিতে। সম্মান করেন নিজের মনে পুষে রাখা স্বপ্নটুকু কে । জাগ্রত হওয়ার অনুপ্রেরণা পান এই স্বপ্ন থেকেই।