Himu 3

পর্ব-৫

১. দুই ধরনের মানুষ মিথ্যা কথাবলতে পারে না। সবল মনের মানুষ আর দুর্বল মনের মানুষ।

২. মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবনযাপন করে আফসোস নিয়ে মৃতবরণ করে…

৩. তুমি তোমার জীবনে ভেজাল হাসিকে আসতে দিও না।মনে কষ্ট পেলে কাদবে।মনের কষ্ট চাপা দেয়ার জন্য হাসির ভান করার প্রয়োজন নেই।

৪. পাখি উড়ে গেলেও পলক ফেলে যায়,আর মানুষ চলে গেলে ফেলে রেখে যায় স্মৃতি।

৫. কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।

৬. একটা মেয়ের ভালবাসায় অনেক কিছু যুক্ত থাকে – সংসারের স্বপ্ন, শিশুর স্বপ্ন। থাকে অনাগত দিন সুন্দরভাবে যাপনের স্বপ্নও। কিন্তু কোন ছেলে প্রেমে পড়লে শুধু তার প্রেমিকাকেই দেখে। স্বপ্নের কোন অস্তিত্ব সেখানে থাকে না।

৭. ক্লাস টেনের মেয়েরা পাত্রী হিসেবে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়। কারণ এই বয়সে মেয়েরা প্রথম পুরুষের ব্যাপারে কৌতুহলি হয় এবং প্রেম করার জন্য ছোঁক ছোঁক করে। বিয়ের পর হাতের কাছে স্বামীকে পায়বলে প্রথম প্রেমটা স্বামীর সঙ্গে হয়। আর এই প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৮. ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে,কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য।তবে প্রেমে তারা পড়বেই!

৯. সারাজীবনে কখনো ভালো না বেসে থাকার চেয়ে, একবার ভালোবেসে তাকে হারানো উত্তম।

১০. পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যার্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যার্থ করা খুবই কঠিন…

১১. যার ওপর মায়া পড়েছে তার সঙ্গে শুধু কথা বলতে ইচ্ছে করে।এই ইচ্ছেটিই বিপজ্জনক। কথা বলা মানেই মায়া বাড়ানো।

১২. সুন্দরী মেয়ে সঙ্গে নিয়ে হাঁটলেই আপনাআপনি ছেলেদের চেহারায় কিছুটা গাম্ভীর্য চলে আসে।

১৩. পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যই দূর থেকে দেখতে হয়,খুব কাছ থেকে দেখতে গেলেই সৌন্দর্য টা কমে যায়।

১৪. মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।

১৫. আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব। এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।

১৬. জোছনা দেখতে হয় সাদা রঙের কাপড় পরে। কালো কাপড় পরে জোছনা দেখা যায় না। একইভাবে বর্ষা দেখতে কদম ফুল লাগে।

১৭. ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায় ।

১৮. হ্যাঁ এবং না পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দুটি শব্দ কিন্তু এ শব্দ দুটি বলতে মানুষের সবচেয়ে বেশী ভাবতে হয়।

১৯. বাঙ্গালীকে বেশি প্রশংসা করতে নেই। প্রশংসা করলেই বাঙালি এক লাফে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে গেলেও ক্ষতি ছিল না- আকাশ থেকে থুথু ফেলা শুরু করে।

২০. পুরুষ মানুষ হাবা হলে চলে কিন্তু মেয়ে মানুষ হাবা হলে চলে না। তাহলে কপালে দুঃখ জোটে।

২১. বেশির ভাগ মানুষের স্বভাব হচ্ছে বিড়ালের মত। তারা সুখের সময় পাশে থাকে। দুঃখকষ্ট যখন আসে তখন দুঃখ কষ্টের ভাগ নিতে হবে এই ভয়ে চুপি চুপি সরে পড়ে। তাদের কোন দোষ নেই। আল্লাহ মানুষকে এমন করেই তৈরি করেছেন। তারপরেও কিছু কিছু মানুষ আছে যারা দুঃখ- কস্টের সময় পাশে এসে দাঁড়ায়। দুঃখ- কষ্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত বড় কোন অস্র তাদের হাতে থাকে না। তাদের থাকে শুধু হৃদয় পূর্ণ ভালবাসা।

২২. মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়।সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।

২৩. নোংরা কথা শুনার মাঝে মানুষ এক ধরণের নিষিদ্ধ আনন্দ পায়…

২৪. প্রেমের যে কি প্রচণ্ড ক্ষমতা,প্রেমে না পড়লে বুঝা যায় না…

২৫. মানব জাতি অপেক্ষা পছন্দ করে না। তবু তাকে অপেক্ষা করতে হয়। ভালবাসার জন্য অপেক্ষা, ঘৃনার জন্য অপেক্ষা, মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা, আবার মুক্তির জন্য অপেক্ষা।

২৬. পৃথিবীর ঘৃণ্য চরিত্র গুলো নারীদের মাঝে দেখা গেলেও, তার পেছনে পুরুষের উপস্থিতি শতভাগ থাকে।

২৭. মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত। তারা তাদের মায়ায় সবাইকে আচ্ছ্বন্ন করে রাখে।

২৮. মানুষকে তোমার মনের দুর্বলতা বুঝতে দিওনা, কেননা মানুষ তোমার মনের দুর্বলতা জানলে তা নিয়ে খেলা করতে আনন্দ পাবে ।

২৯. যদি ভালো পেনসিল হতে না পারো,কারো সুখের গল্প লিখার জন্য তাহলে ভাল রাবার হও। যেন তার দুঃখ মুছে দিতে পারো।

৩০. আমরা স্বপ্ন পূজারী তাই সর্বদা স্বপ্ন গড়ি। একটা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আবার নতুন একটা স্বপ্ন গড়ি এভাবে চলতেই থাকে।

৩১. বুদ্ধিমতীরা নিজেকে ভালোবাসে অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারে না। ভালোবাসার ভান করে।

৩২. কিছু মানুষ জীবনে আসে ক্ষনিকের জন্য,হঠাৎ চলে যায় ঘুর্নিঝড়ের মত, ধ্বংস করে দিয়ে যায় মনের ঘরবাড়িকে।

৩৩. হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায়। সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই,কি যেন নাই……

৩৪. রাত্রি কখনও সূর্যকে পায় না, তাতে ক্ষতি নেই। কারণ সে পেয়েছে অনন্ত নক্ষত্রবীথি।

৩৫. পুরুষ মানুষকে চোখে চোখে রাখতে হয়। চোখের আড়াল হলেই এরা অন্য জিনিস।

৩৬. স্বপ্ন টা কেমন ছিল, তা ঘুম ভাঙ্গার পর বুঝা যায়। ঠিক তেমনি কাছের মানুষ কেমন ছিল, তা শুধু হারিয়ে যাবার পর বুঝা যায়।

৩৭. যার রাগ বেশি সে নিরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নিরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্ট অনেক বেশি।

৩৮. একটা মেয়ের জন্য তোমাকে পারফেক্ট হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, কারন মেয়েরা কখনোই পারফেক্ট ছেলেদের সাথে প্রেম করে না।

৩৯. সব সৌন্দর্যে ব্যাখ্যাতীত কিছু ব্যাপার থাকে। রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝেছিলেন বলেই ব্যাখ্যায় না গিয়ে বলেছেন- বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা।

৪০. যারা সুখী হয় তাদের মধ্যে সুখী হবার বীজ থাকে। জল, হাওয়া এবং ভালোবাসায় সেই বীজ থেকে গাছ হয়।

পর্ব-৬

১. সত্য কথাগুলো সব সময় বক্তৃতার মতো শোনায়, মিথ্যাগুলো শোনায় কবিতার মত।

২. ভোরবেলায় সমুদ্র দেখতে গেলাম। সমুদ্র দেখে হকচকিয়ে গেলাম। আকাশের মত বিশাল কিন্তু নিস্তব্ধ- প্রাণময়। এমন বিশাল এবং প্রায় জীবন্ত কিছু যে পথিবীতে থাকতে পারে তা ছেলেমানুষী কল্পনায় এর আগে কখনো আসেনি। সমুদ্রের তীব্র আকর্ষণ ক্ষমতা আছে। সে সারাক্ষণ ডাকে, আয় আয়- কাছে আয়।

৩. সুট-টাই পরা মানুষ অবশ্যি নরম স্বরে কথা বলতে পারে না। আপনাতেই তাঁদের গলার স্বরে একটা ধমকের ভাব চলে আসে। অবশ্যি স্যুট পরা মানুষ মিনমিন করে কথা বললে শুনতেও ভালো লাগে না। তাদেরকে ঘর জামাই মনে হয়। শ্বশুর বাড়িএ স্যুটে পার্সোনালিটি আসে না।

৪. আমরা (বাংলাদেশের মানুষ) অতি দরিদ্র এই কথা সত্যি। দু’বেলা খেতে পারি না এও সত্যি। অভাবের কারণে জাল-জুয়াচুরি কেউ কেউ করে, এও সত্য- তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও সত্যি আমরা আমাদের আত্মাকে হারাইনি। আমরা দুঃখে-কষ্টে জীবন-যাপন করি এবং এর মধ্যেই আত্মাকে অনুসন্ধান করি।খাঁচার ভেতর যে অচিন পাখি আসা-যাওয়া করে সেই পাখিটাকে বোঝার চেষ্টা করি।

৫. প্রেম নিতান্তই জৈবিক ব্যাপার। নীলপদ্ম বলে একে মহিমান্বিত করার কিছু নেই।

৬. ধুমপানও অভ্যাসের ব্যাপার। অভ্যাস না থাকলে সিগারেটের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসবে। আবার যারা অভ্যস্ত তারা পাগল হয়ে থাকে এই ধোঁয়াটার জন্য।

৭. মানুষের সঙ্গে গাছের অনেক মিল আছে। সবচেয়ে বড় মিল হলো, গাছের মত মানুষেরও শিকড় আছে। শিকড় উপড়ে ফেললে গাছের মৃত্যু হয়, মানুষেরও এক ধরনের মৃত্যু হয়। মানুষের নিয়তি হচ্ছে তাকে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুর ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয় চুড়ান্ত মৃত্যুর দিকে।

৮. আমাদের একজন লেখিকা পশ্চিমা মিডিয়াতে অনেক প্রচার পেয়েছেন, তা সত্য। আমাদের কালচার ও ধর্মকে খাটো করে কেউ লেখা-লেখি করলে তাকে নিয়ে পশ্চিমারা মাতামাতি করতে পছন্দ করে। সেই সূত্রে তিনি প্রচারটা পেয়েছেন।

৯. হোটেলের মালিক বললেন, সাগরের হাওয়ায় মশা থাকে না, মশারি লাগবে না। তার কথায় বিশ্বাস করে ঘুমুতে গেলাম।দেখা গেল, মশা শুধু যে আছে তাই না, প্রবলভাবেই আছে। সমুদ্রের স্বাস্থ্যকর হাওয়ার কারণে মশারা সবাই স্বাস্থ্যবতী।স্বাস্থ্যবতীরা ঝাঁক বেঁধে এসে আমাকে কামড়াতে লাগল। স্বাস্থ্যবতী মশা বলার উদ্দেশ্য, স্ত্রী মশারাই মানুষের রক্ত খায়, পুরুষরা না। তসলিমা নাসরিন আবার যেন মনে না করে বসেন যে, আমি মহিলা মশাদের ছোট করার জন্য এই কথা লিখছি। এটা একটা বৈজ্ঞানিক সত্য।

১০. একটা মানুষ জগতের আনন্দ যজ্ঞের নিমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আনন্দ যজ্ঞে আমাদের সবার নিমন্ত্রণ। কিন্তু আমরা নিমন্ত্রণের কার্ড হারিয়ে ফেলি বলে যেতে পারি না। দূর থেকে অন্যের আনন্দ যজ্ঞ দেখি।

১১. মানুষ মিথ্যা কথা বলে প্রয়োজনে এবং স্বার্থের কারনে।

১২. অতি ভয়ঙ্কর যে গরল তাহাতেও অমৃত মিশ্রিত থাকে। অতি পবিত্র অমৃতে থাকে প্রাণসংহারক গরল। খাদ ছাড়া সোনা হয় না। গরল ছাড়া অমৃতও হয় না।

১৩. যে মানুষ নিঃশব্দে হাসে তাহার বিষয়ে খুব সাবধান। দুই ধরনের মানুষ নিঃশব্দে হাসে- অতি উঁচু স্তরের সাধক এবং অতি নিম্নশ্রেণীর পিশাচ চরিত্রের মানুষ।

১৪. রুচির রহস্য ক্ষুধায়। যেখানে ক্ষুধা নেই সেখানে রুচিও নেই।

১৫. সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি প্রতিটি ছেলেমেয়েকে পাঁচটি অদৃশ্য নীলপদ্ম দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। এই নীলপদ্মগুলি হলো- প্রেম-ভালোবাসা। যেমন ধরো তুমি। তোমাকে পাঁচটি নীলপদ্ম দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তুমি কাউকে পাওনি যাকে পদ্ম দিতে ইচ্ছে করেছে। কাজেই তুমি কারোর প্রেমে পড়োনি। আবার ধরো, একটা সতেরো বছরের তরুণীর সঙ্গে তোমার পরিচয় হলো। মেয়েটির তোমাকে এতই ভালো লাগলো যে, সে কোনো দিকে না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে তার সব ক’টি নীলপদ্ম তোমাকে দিয়ে দিল।তুমি পদ্মগুলি নিলে,কিন্তু তাকে গ্রহণ করলে না। পরে এই মেয়েটি কিন্তু আর কারও প্রেমে পড়তে পারবে না। সে হয়তো একসময় বিয়ে করবে, তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করবে, কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রেম তার থাকবে না।

১৬. তার ডাক নাম হিমু। ভালো নাম হিমালয়। বাবা আগ্রহ করে হিমালয় নাম রেখেছিলেন যেন বড় হয়ে সে হিমালয়ের মত হয়- বিশাল ও বিস্তৃত, কিন্তু ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নয়। হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। ইচ্ছে করলে তিনি ছেলের নাম সমুদ্র রাখতে পারতেন। সমুদ্র বিশাল এবং বিস্তৃত। সমুদ্রকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। তার চেয়েও বড় কথা, সমুদ্রে আকাশের ছায়া পড়ে। কিন্তু তিনি সমুদ্র নাম না রেখে রাখলেন হিমালয়। কঠিন মৌ পর্বতমালা, যার গায়ে আকাশের ছায়া পড়ে না ঠিকই কিন্তু সে নিজেই আকাশ স্পর্শ করতে চায়।

১৭. সব মানুষের মাথায় আউলা গাছের বীজ পোঁতা থাকে। সেই বীজ থেকে ছোট্ট চারা বের হয়। চারা বের হওয়া মাত্র গাছ উপরে ফেলে দিতে হয়।

১৮. সুখ এবং দুঃখ আসলে একই জিনিস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুখ বদলে গিয়ে দুঃখ হয়ে যায়। দুঃখ হয় সুখ। জীবনের প্রবল দুঃখ ও বেদনার ঘটনাগুলি মনে পড়লে আজ আমার ভালো লাগে। প্রাচীন সুখের স্মৃতিতে বুক বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়।

১৯. অতি বড়লোকদের ড্রয়িংরুমে এমন সব জিনিষ থাকে যা দেখে সুন্দর সময় কাটানো যায়।

২০. বড় ধরনের বিপদের সামনেই একজন মানুষ অন্য একজনের কাছে আশ্রয় খুঁজে ।তাই পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপদ আপদেরও দরকার আছে।

২১. দুঃখের কথা বারবার বললে দুঃখ কমে। সুখের কথা বারবার বললে সুখ বাড়ে। এই জন্যে দুঃখের কথা, সুখের কথা দুটোই বারবার বলতে হয়।

২২. মেঘের সঙ্গে মানুষের খুব মিল। মানুষ যেমন কাঁদে মেঘও কাঁদে। বৃষ্টি হচ্ছে মেঘের অশ্রু।

২৩. মস্ত বড় কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে মেয়েদের চোখে সব সময় পানি আসে।

২৪. মেয়েরা তাদের অশ্রু অন্যদের দেখাতে চায় না, প্রিয়জনদের তো কখনোই না!

২৫. ইস্টার্ন সিমেট্রিতে অ্যানি নামের মেয়ের কবরের পাশে একজন বিদেশীর কবর আছে। তার গায়ে চার লাইনের একটি ইতালিয়ান কবিতা যার অর্থ অনেকটা এরকম- ‘এখানে একজন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। তাকে শান্তিতে ঘুমুতে দাও।’ কবরটির পাশেই দুটি প্রকান্ড চেরি ফুলের গাছ। বসন্তকালে কবরটি সাদা রঙের চেরিফুলে ঢাকা পড়ে থাকে। বড় চমৎকার লাগে দেখতে।

২৬. বিয়ের কথা ঠিকঠাক হবার পর কোনো এক বিচিত্র কারনে মেয়েরা বাবার দিকে চলে আসে। অতিরিক্ত মমতা দেখায়। খানিকটা আহ্লাদীও করে।

২৭. কিছু মানুষ ধরেই নিয়েছে তারা যা ভাবছে তাই ঠিক। তাদের জগতটাই একমাত্র সত্যি জগত। এরা রহস্য খুঁজবে না। এরা স্বপ্ন দেখবে না ।

২৮. বাংলাদেশে বেশীরভাগ সময় দুই জায়গার টেলিফোন নষ্ট থাকে- পুলিশের টেলিফোন এবং হাসপাতালের টেলিফোন।

২৯. অতি সাধারন যে মানুষ তার চরিত্রেও অবাক হয়ে লক্ষ করার মতো কিছু ব্যাপার থাকে।

৩০. এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই ।

৩১. রূপবতী মেয়েদের হাসি বেশীরভাগ সময়ই সুন্দর হয় না। দেখা যায় তাদের দাঁত খারাপ।

৩২. আমরা পৃথিবীতে আসি একা,পৃথিবী থেকে ফেরত যাই একা , কিন্ত পৃথিবীতে ঘোরাফিরা করি অনেককে নিয়ে।

৩৩. আলো যেমন চারপাশ আলো করে তোলে একজন পবিত্র মানুষও তার চারপাশ আলো করে তুলবেই।

৩৪. মানুষের অসাধারণ অনেক ক্ষমতার অধিকারী। মানুষের অসাধারণ ক্ষমতার একটি হচ্ছে, দ্রুত অভ্যস্ত হওয়ার ক্ষমতা ।

৩৫. বৃদ্ধ বৃদ্ধরাও জীবনের শেষ দিকে এসে পিকনিক জাতীয় ব্যাপারে খুব আগ্রহী হয়ে পড়েন।

৩৬. অভাবী মানুষদের চোখ কেন জানি পশুদের মতো চকচক করে।

৩৭. মানুষ যখন বড় ধরনের কোন অন্যায় করে তখন সে বুঝতে পারেনা যে সে অন্যায় করছে। বুঝতে পারলে অন্যায়টা সে করতে পারত না। তখন তার কাছে অন্যায়টা ন্যায় মনে হয়। যখন সে অন্যায়টাকে অন্যায় বলে মনে করে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

৩৮. অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গন্ডারের মত। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এই গন্ডারকে সামলানো যায় না।

৩৯. পুরুষের জন্মই হয়েছে ধরা খাওয়ার জন্য। কেউ স্ত্রীর হাতে ধরা খায়, কেউ পুত্র-কন্যার হাতে ধরা খায়। কেউ ধরা খায় প্রেমিকার কাছে। আবার কেউ কেউ র্যাবের কাছে ধরা খায়।

৪০. অসম্ভব বুদ্ধিমান মানুষ সব সময় এই ছেলেমানুষীটা করে। তাদের বুদ্ধির ছটায় অন্যকে চমকে দিতে চায়।