Himu 2

পর্ব-৩

১. তুমি আমাকে যে চিটি লিখেছিলে আমি তার জবাব লিখে এনেছি। সাংকেতিক ভাষায় লিখে এনেছি।’ মারিয়া হাত বাড়াল। তার চোখে চাওয়া কৌতুক ঝকমক করছে। মনে হচ্ছে যে কোনো মুহুর্তে হে খিলখিল করে হেসে ফেলবে । যেন সে অনেক কষ্টে হাসি থামাচ্ছে। ‘সাংকেতিক চিঠিটাই কি লেখা পড়তে পারছ?’ ‘পারছি। এখানে লেখা I hate you.’ ‘I Love you – ও তো হতে পারে।’ ‘সংকেতের ব্যাখ্যা সবাই তার নিজের মত করে করে, আমিও তাই করলাম। আপনার আটটা তারার অনেক মানে করা যাই, যেমন – I want you. I miss you. I lost you. আমি আমার পছন্দ মত একটা বেছে নিলাম।

২. ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে।

৩. প্রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হবার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।

৪. বিভ্রম তৈরীর খেলা প্রকৃতির খুবই প্রিয় খেলা ।

৫. দুনিয়াতে খুব অল্প কিছু মানুষ আছে,যারা আসলেই আলাদা, সারা জীবনেও তারা কারও আপন হতে পারে না, তাদের কেউই বুঝে না, তাদের সব থেকেও আসলে শূন্যতা ছাড়া কিছুই থাকে না, তারা একা আসে, একা ঘুরে, একাই থাকে, একাই চলে যায়!

৬. এক জন মানুষ সবচেয়ে বেশী ভান করে তার চিঠিতে । যে এই ভানের ওপরে উঠে আসতে পারে, তাকে তার প্রাপ্য সন্মান দিতে হয় ।

৭. ভয়ংকর ভয়ের স্বপ্নে মানুষের ঘুম ভাঙে আবার অস্বাভাবিক আনন্দের স্বপ্নেও মানুষের ঘুম ভাঙে ।

৮. একটি মেয়ে খুব সহজে কাঁদতে পারে। কারণ তারা মাঝে মাঝেই একটু কষ্ট পেয়েই কেঁদে অভস্ত। কিন্তু একটি ছেলে তখনই কাঁদে যখন সে তার কষ্ট কে ধরে রাখতে পারে না। ওই মুহর্তে তার কান্নাটা এতো টাই তীব্র হয়। যে পৃথিবীর সমস্ত সুখ ও যদি এনে দেওয়া হয় কারো ক্ষমতা নেই সেই কান্নাটুকু থামানোর।

৯. প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে বলেই শ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষকে নানান রহস্য দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায়। সারাজীবন প্রতিটি মানুষ তার রহস্যের খেলা খেলে। কিন্তু প্রকৃতি দাঁড়িপাল্লায় মেপে সবাইকে সমান রহস্য দেন না ।

১০. একখণ্ড বিশাল মেঘ চাঁদটিকে ঢেকে দিয়েছে।চাঁদের আলো এখন আর চোখে লাগছে না। চারদিক কি সুন্দর লাগছে। কি অসহ্য সুন্দর। হতাশা,গ্লানি, দুঃখ ও বঞ্চনার পৃথিবীকে এত সুন্দর করে বানানোর কি প্রয়োজন ছিল কে জানে ?

১১. যারা বেশি কথা বলে তারা মানুষ হিসেবে ভাল হয়।

১২. আবেগ লুকাতে হয় । অতি আবেগ মানুষকে সামনে এগুতে দেয় না ।

১৩. মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়।

১৪. মেয়ে জাতটাই হচ্ছে মায়াবতীর জাত ।

১৫. সত্যি । মাঝে মাঝে প্রকৃতির এত্ত সৌন্দর্য দেখলে ঠিক থাকতে পারি না । মনে হয়, প্রকৃতির সাথে মিশে একাকার হয়ে যাই । আল্লাহ্ পৃথিবীতেই যদি এত সুখ দিয়ে রাখে, বেহেস্তে কী দিবে?

১৬. তুমি আমার জন্যে দু’ফোটা চোখের জল ফেলেছ–তার প্রতিদানে আমি “জনম জনম কাঁদিব।

১৭. অন্ধকার বলে কিছু নেই, আলোর অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে।

১৮. মেয়েদের সবচে বেশি আনন্দ হয়, যখন ঝগড়াতে স্বামীকে হারাতে পারে। স্বামীর পরাজিত মুখ স্ত্রীর কাছে যুদ্ধে জয়ের মতো।

১৯. জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর! এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।

২০. না পাওয়া ভালোবাসা গুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে?

২১. আমরা মানুষের জটিলতা দেখে অভ্যস্ত, সারল্যকে আমরা ভয় করি। কারো ভেতরে ঐ ব্যাপারটি দেখলে থমকে যাই, এবং আমাদের মনের একটি অংশ বলতে থাকে নিশ্চয়ই কোন একটা রহস্য আছে।

২২. শহরের সাথে গ্রামের এই বুঝি পার্থক্য। শহরে দৃষ্টি আটকে যায়। গ্রামে যায় না।

২৩. সব মানুষের মধ্যে একটা ইষ্টিশন থাকে। সেই ইষ্টিশনের সিগন্যাল ডাউন করা। ইষ্টিশনে সবুজ বাতি জ্বলছে। আনন্দময় ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা। কারো কারো ষ্টেশনে ট্রেন সত্যি সত্যি এসে থাকে। কারো কারো ষ্টেশনে আসে ঠিকই, কিন্তু মেলট্রেন বলে থামে না। ঝড়ের মতো উড়ে চলে যায়।

২৪. সব মানুষের মাঝে একজন মহাপুরুষ বাস করে। তাঁরা কখনো প্রকাশিত হন। কখনো হন না।

২৫. মেয়ে জাতটা বড় অদ্ভুত। কী বললে পুরুষ মানুষের মন ভালো হয় সেটা যেমন জানে, আবার কী বললে পুরুষ মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যায় সেটাও জানে।

২৬. করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্হ করে দেয়।

২৭. তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে. সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে!

২৮. আমরা কাউকেই হারাতে চাই না, কিন্তু সবাইকেই হারাতে হয়।

২৯. পুরুষ মানুষ দিনরাত স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা থাকলে বুঝতে হবে সে পুরুষ মানুষই না। তার কোন সমস্যা আছে।

৩০. সব ক্ষমতা নিয়ে একজন দূরে বসে আছেন। ভুল বললাম দূরে না, কাছেই বসে আছেন। খুব বেশি কাছে বলেই তাকে দেখা যায় না।

৩১. কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্ট মানুষকে শক্তিশালীও করে ।

৩২. পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায়- Conservation of আনন্দ। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে।

৩৩. অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম।

৩৪. মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হাহাকার করে ওঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।

৩৫. কষ্টের বেপার গুলো মানুষের ভাল মনে থাকে না।সে কখনো মনে রাখতে চায় না।কিন্তু, সুখের বেপারে খুব ভালভাবে মনে থাকে।কারন,এগুলো নিয়ে প্রায়ই ভাবা হয় ।

৩৬. বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই করে।

৩৭. পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে। শ্রাবন মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে। সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না।

৩৮. যখন কেউ কারো জন্য কাঁদে, সেটা হলো আবেগ। যখন কেউ কাউকে কাঁদায়, সেটা হলো প্রতারণা। আর যখন কেউ কাউকে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা ।

৩৯. ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়।কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়য়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়!!

৪০. বাঙ্গালী মেয়েদের গায়ের রঙের একটা মাত্রা আছে। কোনও মেয়ে যদি সেই মাত্রা অতিক্রম করে যায় তখন আর ভালো লাগে না। তার মধ্যে বিদেশী বিদেশী ভাব চলে আসে। তাকে আর আপন মনে হয় না।

পর্ব-৪

১. সম্পর্কের বন্ধন ঠিক পেরেকের প্যাঁচের মত। একবার যদি প্যাঁচ কেটে যায়, তা আর যত চেষ্টাই করনা কেন তা আর আগের মত মজবুত হয়না। হয়তো কৌশলে বা বল প্রয়োগে তা দেখতে আগের মত থাকবে কিন্তু ভেতরটা দেখলে একদম নড়বড়ে।

২. আমি ঘর ছাডিয়া বাহির হ্ইয়া, জোছনা ধরিতে যাই। হাত ভর্তি চাদের আলো, ধরতে গেলেই নাই।

৩. সাধারণ মেয়েরা ছালবাকল নেই ছেলের প্রেমে কখনো পড়বে না। তারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার খুঁজবে। টাকা-পয়সা খুঁজবে। ঢাকায় বাড়ি আছে কি-না দেখবে। কিন্তু অতি বিত্তবান মেয়েরা ছালবাকল নেই ছেলেদের প্রতি এক ধরনের মমতা পোষণ করবে। অসহায়ের প্রতি করুণা। সেই করুণা থেকে প্রেম।

৪. প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম।

৫. সুন্দরী মেয়েদের হাতের লেখা সুন্দর হয়।এটা হল নিপাতনে সিদ্ধ।সুন্দরীরা মনে প্রাণে জানে তারা সুন্দর। তাদের চেষ্টাই থাকে তাদের ঘিরে যা থাকবে সবই সুন্দর হবে।

৬. সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও এক সময় একজন অন্যজনকে চিনতে পারে না। আবার এমনও হয়, এক পলকের দেখায় একে অন্যকে চিনে ফেলে।

৭. ‘বাবা’ সম্বোধনে লেখা চিঠি অগ্রাহ্য করা কোন পুরুষের পক্ষেই সম্ভব না। মেয়েদের পক্ষে ‘মা’ সম্বোধনের চিঠি অগ্রাহ্য করা খুবই সম্ভব। তারা ‘মা’ ডাক শুনে অভ্যস্ত। পুরুষরা বাবা শুনে অভ্যস্ত না। কেউ বাবা ডাকলেই সেই ডাক পুরুষদের মাথার ভেতর ডুকে যায়।

৮. জীবন সহজও নয় জটিলও নয়। জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে জটিল করি- সহজ করি।

৯. পৃথিবীতে সবচে’ সুখী মানুষ কে?’ ‘যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচে’ সুখী মানুষ’।

১০. মানুষের বিপদে এখন আর মানুষ এগিয়ে আসে না। এই যুগের নীতি হচ্ছে বিপদ্গ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে দুরে চলে যাওয়া । যে যত দুরে যাবে তত ভাল থাকবে।

১১. অতিকাছের মানুষের অবহেলা সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের নেই মানুষ বড় অভিমানি প্রাণী।

১২. হাসি সবসময় যে সুখের প্রকাশ তা নয়, আপনি কতটা দু:খ লুকাতে পারেন তাও বুঝায়।

১৩. খুব ভাল লাগবে যদি শুনি আমি চলে যাবার পরও কেউ হিমু হয়ে খালি পায়ে রাস্তায় হাটে।

১৪. মেয়েরা হচ্ছে জন্মদাত্রী জননী। হাজার ভুল করলেও এদের উপর রাগ করতে নেই। এদের উপর রাগ করাটাই কাপুরুষতা।

১৫. পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর দৃশ্য হল লোভে চকচক করা চোখ। আর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য গভীর মমতায় আদ্র প্রেমিকার চোখ।

১৬. স্বপ্নদৃশ্য সবসময় হয় সাদা-কালো| স্বপ্ন বর্ণহীন।

১৭. কিছু মানুষের উপর আপনি কখনোই আস্থা রাখতে পারেন না। এরা নিজের সুখের জন্য ঝুলন্ত অবস্থায় পাহাড়ের চূড়া থেকে আপনার হাত ছেড়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না।

১৮. যে-কোনো মেয়ের বিয়ের দিন বিবাহিত মেয়েদের মন খুশি খুশি থাকে| নিজের বিয়ের কথা মনে পড়ে এই জন্যে।

১৯. বর্তমানটাই সত্যি । অতীত কিছু না, ভবিষ্যৎ তো দূরের ব্যাপার । আমরা বাস করি বর্তমানে, অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না ।

২০. পৃথিবীর সবথেকে কঠিন ভাষা হলো চোখের ভাষা, এই ভাষা পড়ার জন্য মনে গভীর ভালবাসার দরকার হয়।

২১. আমাদের সবার ভুবনই আলাদা। এই ভুবনও একদিন ভাঙবে। আমরা অচেনা এক বৃত্তের দিকে যাত্রা শুরু করব। সেই বৃত্ত কেমন কে জানে! পৃথিবীতেই এত রহস্য। না জানি কত রহস্য অপেক্ষা করছে অদেখা ভুবনে।

২২. শেকসপীয়ারের মতো মানুষও কিন্তু ভূত বিশ্বাস করতেন | তিনি হ্যামলেটে বলেছেন___ There are many things in heaven and Earth.

২৩. মানুষ কী অদ্ভুত দেখেছেন? মানুষ কত সহজেই- না ‘ভুল’ -সত্যি ভেবে গ্রহন করে।

২৪. কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সীমারেখায় অবস্থান করি। তখন আমরা একই সঙ্গে দেখতে পাই ও পাই না। বুঝতে পারি ও পারি না। অনুভব করতে পারি ও পারি না। সে বড় রহস্যময় সময়।

২৫. ঈশ্বর মানুষকে প্রচুর ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু মনের কথা বুঝবার ক্ষমতা দেন নি।

২৬. মাঝে মাঝে রেগে যাওয়া ভাল | রাগলে শরীরের রোগ জীবানু মরে যায়।

২৭. পুরোপুরি নিশ্চিন্ত, নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন সম্ভব না । সব জীবনেই কিছু ঝামেলা থাকবে । কাবাব যতই ভালই হোক,কাবাবের এক কোণায় ছোট হাড্ডির টুকরো থাকবেই।

২৮. পাঁচ হচ্ছে ম্যাজিকেল নাম্বার। কোন মেয়েকে যদি কখনো পাঁচটা গোলাপ দেয়া যায় তাহলে সে জন্মের মত কেনা হয়ে যায়।

২৯. পুরুষ রমণীর প্রভেদটা হল বাহ্যিক। শারীরিক। মানুষের আসল পরিচয় তার আত্মায়। আত্মার কোন নারী পুরুষ নেই। পুরুষের আত্মাও যা নারীর আত্মাও তা।

৩০. আলাদীনের চেরাগের দৈত্য যদি হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আমাকে বলে — রূপা, চট চট করে বল। তোমার তিনটা ইচ্ছে আমি পূর্ণ করব । তাহলে মাথা চুলকে বলব, স্যার থ্যাংক য়্যু, আপনার কাছে আমার কিছু চাইবার নেই। আমার যা চাইবার তা চাইতে হবে হিমুর কাছে । ওকে একটু আমার কাছে এনে আপনি বিদেয় হোন। আপনার গা থেকে বিশ্রী গন্ধ আসছে।

৩১. যাদের পর্যবেক্ষন শক্তি খুব ভালো, তারা প্রায়ই খুব কাছের জিনিস দেখতে ভুল করে।

৩২. গল্প উপন্যাস যখন যেটা লিখছি তার চরিত্রই বন্ধু হিসাবে থাকে। বাইরের বন্ধুর প্রয়োজন সে কারণেই হয় না।

৩৩. পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ রাগ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু আনন্দ প্রকাশ করতে পারে না। আরেক ধরনের মানুষ আনন্দ প্রকাশ করতে পারে কিন্তু রাগ প্রকাশ করতে পারে না।

৩৪. আমরা শূন্য হতে এসেছি, আবার শূন্যে ফিরে যাব। দুই শূন্যের মাঝে আমরা বাস করি। ভয় বাস করে এই দুই শূন্যে।

৩৫. যা হারিয়েছো তার জন্য আফসোস করোনা। ওটা তোমার জন্য না, যদি তোমারই থাকতো তবে তোমার কাছ থেকে তার পালানোর সাধ্য ছিলোনা।

৩৬. সৌন্দর্য কোন ধ্রুব ব্যাপার না । ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। আজ তোমাকে অপূর্ব লাগছে তার মানে এই না যে কালও লাগবে।

৩৭. পুরুষ মানুষের চোখের জল মেয়েদের দেখাতে নেই।

৩৮. মানবজাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যায় আশ্রয়ে নিজেকে নিরাপদ মনে করে।

৩৯. পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দময় জিনিসগুলির জন্যে কিন্তু টাকা লাগে না। বিনামুল্যে পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বর্ষার দিনের বৃষ্টি, মানুষের ভালবাসা…

৪০. আইসক্রিম আর চুমু খাওয়ার কোন বয়স লাগে না।