হুমায়ুন আহমেদের
উক্তি ভান্ডার
Exit
পর্ব-৯
১. মধ্যদুপুর ও মধ্যরাত, এই দুটি সময় আমার খুব প্রিয়। মধ্যদুপুরের যেমন এক ধরনের মাদকতা আছে, ঠিক মধ্যরাতের আছে নিঃশ্চুপ নিরবতা।। মাদকতা আর নিরবতা আর কি চাই….
২. চারপাশে পত্রপুষ্পশোভিত বৃক্ষরাজি। আকাশে চির পূর্ণিমার চাঁদ, যে-চাঁদের ছায়া পড়েছে ময়ূরাক্ষী নামের এক নদীতে।সেই নদীর স্বচ্ছ জলে সারাক্ষন খেলা করে জোছনার ফুল। দূরের বন থেকে ভেসে আসে অপার্থিব সংগীত।
৩. দু’ধরনের মানুষের মধ্যে পাগলামি প্রকাশিত হয়। প্রতিভাবান মানুষ এবং কর্মশূন্য মানুষ।
৪. গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ- পরিচিত কাউকে গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা করে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলে ডাকা যাই।
৫. বেশি সুন্দরী মেয়েদের রাগও বেশি থাকে ।
৬. অসুস্থ মানুষকে প্রকৃতি খুব প্রভাবিত করে। পরিবেশেরও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে।
৭. বিরাট খোলা মাঠে একা থাকা যায়, কিন্তু ছোট্ট একটা বাড়ীতে একা থাকা যায় না।
৮. বলা হয়ে থাকে, সৈনিকদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। এটা ঠিক না। তাদের বুদ্ধি থাকে বুট জুতায়। যখন তারা বুট পরে তখন তারা বুদ্ধিশূন্য মানুষে পরিণত হয়। তখন তাদের বুদ্ধি চলে যায় বুট জুতায়।
৯. ইউনিভার্সিটির মেয়েরা মাথায় ঘোমটা দেয় শুধূ আজানের সময়।
১০. একঘেয়ে কোন আকর্ষণই আকর্ষণ থাকে না। মায়ের প্রতি মানুষের অন্ধ ভালবাসা ফিকে হয়ে আসে একঘে’য়েমীর জন্যেই।
১১. কাগজে কলমে করা নিখুঁত পরিকল্পনা বাস্তবে ভেস্তে যায়। তুচ্ছ কারণেই ঘটে। A kingdom is lost for a nail.
১২. মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যপারটি খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক!
১৩. কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই। তাতে করে কাছে যাবার আকুতি দেখে সে হয়তো দূরে চলে যেতে পারে।কেননা, মানুষ সোজা পথের চেয়ে বাকা পথে হাটতে আনন্দ পায় বেশি। কিন্তু সব কিছু হারিয়ে সোজা পথেই আসতে হয়। সেই সময়ে নতুন করে ভালোবাসার ইচ্ছা টা আর থাকে না।
১৪. সব মানুষের জীবনের কোন না কোন সময় অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তখন সে যুক্তির সিঁড়ি থেকে সরে দাঁড়ায়। নিজেকে সমার্পন করে রহস্যময়তার কাছে।
১৫. ব্যবহার না করলে বুদ্ধি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তোমাকে যদি একমাস একটা ঘন অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়, একবারও যদি সেই ঘরে আলো না জ্বালা হয়, তাহলে একমাস পর দেখা যাবে তুমি চোখে কিছুই দেখছ না। তুমি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছ। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
১৬. বাঙালি অদ্ভুত এক জাতি। যাদের বিশ্বাস করে, তাদের সব কথা বিশ্বাস করে। তারা যদি বলে- চিলে কান নিয়ে গেছে- কান নিয়েছে কী নেয় নি যাচায় করে না। গালের পাশে হাত দিলেই বুঝবে কান এখনো আছে। জুলপির পাশেই ঝুলছে। তারপরেও দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটতে থাকে চিলের পেছনে।
১৭. এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষই নিখোঁজ, তাই নয় কি? মানুষ জন্মের পর থেকে তার ঠিকানা খুঁজে বেড়ায়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, কিন্তু কেউ কি তার আসল ঠিকানা খুঁজে পায়, পায় না!
১৮. বিশেষ কোনো ঘটনা সেলিব্রেট করার জন্য আছড়ে নারিকেল ভাঙ্গার প্রথা ছিল। পশ্চিমা দেশে নারিকেলের পরিবর্তে শ্যাম্পেনের বোতল খোলা হয়।
১৯. কোন পরিবারে একজন কেউ কানে কম শুনলে বাকি সবাই জোরে কথা বলে।
২০. হে মানব সন্তান। তুমি তোমার ভালবাসা লুকাইয়া রাখিও। তোমার পছন্দের মানুষদের সহিত তুমি রুঢ় আচরণ করিও। যেন তোমার স্বরূপ বুঝতে না পারে। মধুর আচরণ করিবে দুর্জনের সঙ্গে। নিজেকে অপ্রকাশ রাখার এই প্রথম পাঠ।
২১. বড় রকমের অসুখবিসুখের সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। মানুষের ব্যথা – বোধের মূল কেন্দ্র মস্তিস্ক।
২২. সাধারণত রূপবতীরা মানুষকে আকর্ষণ করে না – একটু দূরে সরিয়ে রাখে।
২৩. লজিক ব্যবহার করার ক্ষমতা সবার মধ্যেই আছে। বেশীরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করে না।
২৪. একজন ক্ষতিকর মানুষ সমাজের যতটা ক্ষতি করতে পারে । তার চেয়ে এক’শ গুন বেশী ক্ষতি করতে পারে সেই মানুষটির লেখা একটি বই।
২৫. প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শণীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে, মেয়েকে যেহেতু সব সময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল – শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল – অশান্ত, অধীর, অস্থির”
২৬. মেয়েরা সিরিয়াস টাইপ পুরুষ পছন্দ করে।যারা কথায় কথায় রসিকতা করে মেয়েরা তাদের ছ্যাবলা ভাবে।
২৭. আমাদের সমাজটা এমন যে বেশির ভাগ শাস্তিই আমাদের বিনা কারনে পেতে হয় ।
২৮. ঈশ্বর যদি কাউকে মারতে চান তাহলে কি তার কোন আয়োজন করার প্রয়োজন আছে ? তাহলে মরতে কিসের ভয় , একবারই তো মরতে হবে ।
২৯. এই পৃথিবীতে মূল্যবান শুধু মানুষের জীবন, আর সব মূল্যহীন।
৩০. মানুষ খুব যুক্তিবাদী প্রাণী হলেও তার মধ্যে অনেকখানি অংশ আছে যুক্তিহীন | মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালবাসে।
৩১. মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালোবাসে | সে সারাক্ষণ চেষ্টা করে অসহায়ত থেকে মুক্তি পেতে।
৩২. আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই।
৩৩. যে লাঠি দিয়ে অন্ধ মানুষ পথ চলে,সেই লাঠি দিয়ে মানুষও খুন করা যায়। হাতের তসবি গলার মালাও হতে পারে।
৩৪. গরম মাড় কিংবা গরম পানি কুকুরের গায়ে ফেলে আমরা বড় আনন্দ পাই | ব্যাথা যন্ত্রণায় সে ছটফট করে – দেখে আমাদের বড়ই ভাল লাগে | মানুষ হিসেবে সমগ্র পশুজগতে আমরা শ্রেষ্ঠ, সেটা আবারও প্রমাণিত হয় !!
৩৫. সূর্যোদয় দেখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই দৃশ্যটি মানুষকে ভাবতে শিখায়। মন বড় করে।
২. চারপাশে পত্রপুষ্পশোভিত বৃক্ষরাজি। আকাশে চির পূর্ণিমার চাঁদ, যে-চাঁদের ছায়া পড়েছে ময়ূরাক্ষী নামের এক নদীতে।সেই নদীর স্বচ্ছ জলে সারাক্ষন খেলা করে জোছনার ফুল। দূরের বন থেকে ভেসে আসে অপার্থিব সংগীত।
৩. দু’ধরনের মানুষের মধ্যে পাগলামি প্রকাশিত হয়। প্রতিভাবান মানুষ এবং কর্মশূন্য মানুষ।
৪. গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ- পরিচিত কাউকে গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা করে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলে ডাকা যাই।
৫. বেশি সুন্দরী মেয়েদের রাগও বেশি থাকে ।
৬. অসুস্থ মানুষকে প্রকৃতি খুব প্রভাবিত করে। পরিবেশেরও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে।
৭. বিরাট খোলা মাঠে একা থাকা যায়, কিন্তু ছোট্ট একটা বাড়ীতে একা থাকা যায় না।
৮. বলা হয়ে থাকে, সৈনিকদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। এটা ঠিক না। তাদের বুদ্ধি থাকে বুট জুতায়। যখন তারা বুট পরে তখন তারা বুদ্ধিশূন্য মানুষে পরিণত হয়। তখন তাদের বুদ্ধি চলে যায় বুট জুতায়।
৯. ইউনিভার্সিটির মেয়েরা মাথায় ঘোমটা দেয় শুধূ আজানের সময়।
১০. একঘেয়ে কোন আকর্ষণই আকর্ষণ থাকে না। মায়ের প্রতি মানুষের অন্ধ ভালবাসা ফিকে হয়ে আসে একঘে’য়েমীর জন্যেই।
১১. কাগজে কলমে করা নিখুঁত পরিকল্পনা বাস্তবে ভেস্তে যায়। তুচ্ছ কারণেই ঘটে। A kingdom is lost for a nail.
১২. মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যপারটি খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক!
১৩. কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই। তাতে করে কাছে যাবার আকুতি দেখে সে হয়তো দূরে চলে যেতে পারে।কেননা, মানুষ সোজা পথের চেয়ে বাকা পথে হাটতে আনন্দ পায় বেশি। কিন্তু সব কিছু হারিয়ে সোজা পথেই আসতে হয়। সেই সময়ে নতুন করে ভালোবাসার ইচ্ছা টা আর থাকে না।
১৪. সব মানুষের জীবনের কোন না কোন সময় অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তখন সে যুক্তির সিঁড়ি থেকে সরে দাঁড়ায়। নিজেকে সমার্পন করে রহস্যময়তার কাছে।
১৫. ব্যবহার না করলে বুদ্ধি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তোমাকে যদি একমাস একটা ঘন অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়, একবারও যদি সেই ঘরে আলো না জ্বালা হয়, তাহলে একমাস পর দেখা যাবে তুমি চোখে কিছুই দেখছ না। তুমি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছ। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
১৬. বাঙালি অদ্ভুত এক জাতি। যাদের বিশ্বাস করে, তাদের সব কথা বিশ্বাস করে। তারা যদি বলে- চিলে কান নিয়ে গেছে- কান নিয়েছে কী নেয় নি যাচায় করে না। গালের পাশে হাত দিলেই বুঝবে কান এখনো আছে। জুলপির পাশেই ঝুলছে। তারপরেও দলবেঁধে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটতে থাকে চিলের পেছনে।
১৭. এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষই নিখোঁজ, তাই নয় কি? মানুষ জন্মের পর থেকে তার ঠিকানা খুঁজে বেড়ায়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, কিন্তু কেউ কি তার আসল ঠিকানা খুঁজে পায়, পায় না!
১৮. বিশেষ কোনো ঘটনা সেলিব্রেট করার জন্য আছড়ে নারিকেল ভাঙ্গার প্রথা ছিল। পশ্চিমা দেশে নারিকেলের পরিবর্তে শ্যাম্পেনের বোতল খোলা হয়।
১৯. কোন পরিবারে একজন কেউ কানে কম শুনলে বাকি সবাই জোরে কথা বলে।
২০. হে মানব সন্তান। তুমি তোমার ভালবাসা লুকাইয়া রাখিও। তোমার পছন্দের মানুষদের সহিত তুমি রুঢ় আচরণ করিও। যেন তোমার স্বরূপ বুঝতে না পারে। মধুর আচরণ করিবে দুর্জনের সঙ্গে। নিজেকে অপ্রকাশ রাখার এই প্রথম পাঠ।
২১. বড় রকমের অসুখবিসুখের সময় মানুষের মন দুর্বল থাকে। মানুষের ব্যথা – বোধের মূল কেন্দ্র মস্তিস্ক।
২২. সাধারণত রূপবতীরা মানুষকে আকর্ষণ করে না – একটু দূরে সরিয়ে রাখে।
২৩. লজিক ব্যবহার করার ক্ষমতা সবার মধ্যেই আছে। বেশীরভাগ মানুষই তা ব্যবহার করে না।
২৪. একজন ক্ষতিকর মানুষ সমাজের যতটা ক্ষতি করতে পারে । তার চেয়ে এক’শ গুন বেশী ক্ষতি করতে পারে সেই মানুষটির লেখা একটি বই।
২৫. প্রকৃতি শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বিপরীত গুণাবলীর দর্শণীয় সমাবেশ ঘটিয়েছে, মেয়েকে যেহেতু সব সময়ই সন্তান ধারণ করতে হয়, সেহেতু প্রকৃতি তাকে করল – শান্ত, ধীর, স্থির। একই সঙ্গে ঠিক একই মাত্রায় তাকে করল – অশান্ত, অধীর, অস্থির”
২৬. মেয়েরা সিরিয়াস টাইপ পুরুষ পছন্দ করে।যারা কথায় কথায় রসিকতা করে মেয়েরা তাদের ছ্যাবলা ভাবে।
২৭. আমাদের সমাজটা এমন যে বেশির ভাগ শাস্তিই আমাদের বিনা কারনে পেতে হয় ।
২৮. ঈশ্বর যদি কাউকে মারতে চান তাহলে কি তার কোন আয়োজন করার প্রয়োজন আছে ? তাহলে মরতে কিসের ভয় , একবারই তো মরতে হবে ।
২৯. এই পৃথিবীতে মূল্যবান শুধু মানুষের জীবন, আর সব মূল্যহীন।
৩০. মানুষ খুব যুক্তিবাদী প্রাণী হলেও তার মধ্যে অনেকখানি অংশ আছে যুক্তিহীন | মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালবাসে।
৩১. মানুষ যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে ভালোবাসে | সে সারাক্ষণ চেষ্টা করে অসহায়ত থেকে মুক্তি পেতে।
৩২. আমরা যে জিনিস বুঝতে পারিনা তাকেই ভয় পাই।
৩৩. যে লাঠি দিয়ে অন্ধ মানুষ পথ চলে,সেই লাঠি দিয়ে মানুষও খুন করা যায়। হাতের তসবি গলার মালাও হতে পারে।
৩৪. গরম মাড় কিংবা গরম পানি কুকুরের গায়ে ফেলে আমরা বড় আনন্দ পাই | ব্যাথা যন্ত্রণায় সে ছটফট করে – দেখে আমাদের বড়ই ভাল লাগে | মানুষ হিসেবে সমগ্র পশুজগতে আমরা শ্রেষ্ঠ, সেটা আবারও প্রমাণিত হয় !!
৩৫. সূর্যোদয় দেখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই দৃশ্যটি মানুষকে ভাবতে শিখায়। মন বড় করে।