২২. কৃতজ্ঞতা- শেখ সাদির গল্প

শেখ শাদী (র) সাধারনত খুবই সাদাসিদে জীবনযাপন করতেন। একবার এক দাওয়াতে তিনি ছেড়া ও নোংরা কাপড় চোপড় পড়ে চলে গেলেন। তাই মেজবান তাকে চিনতে না পেরে ফকির ভেবে অপেক্ষাকৃত কম ও অনুন্নত খাবার দিলেন। শেখ শাদী বিষয়টি বুঝতে পারলেন। তিনি ঐ কম ও অনুন্নত খাবার খেয়ে ফিরে এলেন এবং কিছুক্ষন পর আবার ভালো ও শাহেনশাহী কাপড় চোপড় পড়ে ঐ বাড়িতে গেলেন। এবার তার সামনে সকল উন্নত খাবার দাবার ও যথাযত সম্মান দেখানো হলো। তিনি খাবার খেতে বসে কিছু খেলেন এবং কিছু খাবার তার পরনে পরা জামার পকেটে ঢুকালেন ।

এই অবস্হা দেখে মেজবান প্রশ্ন করলেন, জনাব এটা কি করছেন ?

জবাবে শেখ শাদী (র) বললেন, একটু আগে আমি এসেছিলাম, আমার শরীরে ছিলো ছেড়া ও নোংরা কাপড়। তাই আপনি আমাকে যেভাবে সম্মান দেখালেন এখন আমার বেশভুসার কারনে আমাকে তার ছেয়ে অনেক বেশি সম্মান দেখিয়েছেন। তাই ভাবলাম এই সম্মান ও খাবার দাবার আমার প্রাপ্য নয়, ওগুলো সব ঐ বেশভুসার।

সেই মহান ব্যাক্তিকে একদিন একজন প্রশ্ন করলেন, জনাব আপনি এত আদব কিভাবে শিখলেন ?

তিনি জবাব দিলেন, দুনিয়ার সকল বেয়াদবদের দেখে দেখে আমি আদব শিখেছি।

কিভাবে ? আবার প্রশ্ন ।

তিনি জবাব দিলেন, যখন বেয়াদবরা তাদের বেয়াদবি আচরন করে আর দুনিয়ার মানুষ সেটাকে ঘৃনা করে তখন বুঝে নেই এই আচরনটা আমার করা উচিৎ নয়। এভাবেই আমি বেয়াদবদের কাছ থেকে আদব শিখি।