20. ন্যায়পরায়ন শিক্ষক- শেখ সাদির গল্প

এক প্রভাবশালী ।সম্রাট এক অভিজ্ঞ শিক্ষাকের হাতে রাজকুমারের শিক্ষার ভার দিয়ে বললেনঃ শুনুন ওস্তাদজী! এ ছেলে আপনার নিজের সন্তান মনে করে শিক্ষা দেবেন।। কোন রকম ত্রুটি করবেন না।

ওস্তাদজী সবিনয়ে বললেনঃ জো হুকুম জাঁহাপানা।

বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি প্রাণপন প্রচেষ্টা চালালেন। কিন্তু যুবরাজকে তিনি বিদ্যাবুদ্ধি কিছু শিখাতে পারলেন। পক্ষান্তরে তার নিজের ছেলেরা জ্ঞানে গুণে শীর্ষস্থান অধিকার করল।। এই সংবাদ শুনে সম্রাট ভীষণ রেগে গেলেন এবং ওস্তাদকে গ্রেফতার করে এনে খুব রকম তিরষ্কার করে বললেনঃ আপনি আমার সা্থে কর্তব্য ও ওয়াদা খিলাফ করেছেন।। ।

সিংহাসন চুম্বন করে শিক্ষক সাহেব করজোর নিবেদন করলেনঃ হে রাজাধিরাজ! আপনার মত জ্ঞানী সম্রাটের এ কথা অজানা থাকার কথা নয় যে, শিক্ষকরা সকল শিক্ষার্থীকে সমান শিক্ষাই দিয়ে থাকেন, কিন্তু শিক্ষা গ্রহনের যোগ্যতা সকল ছাত্রের সমান থাকে না। শোনেন নি?

“স্বর্ণ ও রৌপ্য পয়দা পাথরেই হয়

তা বলে পাথর সব স্বর্ণ রোপ্য নয়…

সূর্য। সর্বত্র দেয় কিরণ সমান;

কোথা বা আগাছা জন্মে কোথা গুলিস্থান।।”

শিক্ষাঃ গর্বি ছাত্রদের স্মরণ শক্তি কম, সে রাজার ছেলে হোক আর প্রজার ছলেই হোক, এলেম ধরে রাখতে পারে না। যিনি ওস্তাদ তিনি সকল ছাত্রকে সমান নজরেই দেখেন, যথাসাধ্য জ্ঞান বিতরণ করেন। কোন ছাত্র উক্ত জ্ঞান ধরে রাখতে পারে, আবার কেউ ধরে রাখতে পারে না। সকলের যোগ্যতা সমান নয়।