১১ ছাত্রের প্রেমে ওস্তাদ-শেখ সাদির গল

এক ওস্তাদজী এক মক্তবে শিক্ষকতা করতেন। অনেক কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী তার কাছে পড়াশুনা করত। তাদের মাঝে এক ছাত্র ছিল সর্বাঙ্গ সুন্দর। তার বাইরের রুপলাবন্য ছিল যেমন সদ্য ফোটা গোলাপ ফুলের মত সুন্দর, ভেতরের মনটাও ছিল তেমনি ফেরেশতার মতো নির্মল ও পবিত্র। অধকন্তু তার কন্ঠস্বর ছিল অত্যন্ত মধুর। অপূর্ব সৌন্দর্য সুষমায় অল্পদিনেই সে ওস্তাদের হৃদয়-মন মুগ্ধ করে ফেলেন। ফলে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের কোন দোষত্রটি পেলে তিনি যেমন করে শাসন করতেন, মানবসুলভ দুর্বলতাবশত এই ছেলেটার বেলায় তেমন কঠোর ব্যবহার করতে পারতেন না।

একদিন্ন ছেলেটা ওস্তাদজীকে বললঃ হুজুর আমার পড়াশুনার ব্যাপারে আপনি যেমন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন, আমার চরিত্র গঠনের দিকেও দয়া করে তেমনই মনোযোগ রাখবেন। আপনার অতিরিক্ত স্নেহ পেয়ে আমি যেন বেয়াদব উচ্ছৃঙ্খল হয়ে না যাই, আমার আদব-আখলাক এবং চলাফেরায় যদি কোন দোষত্রূটি দেখেন, তা হলে দয়া করে আমাকে জানাবেন। আমি সেই দোষ সংশোধনে সচেষ্ট হব।

ওস্তাদজী সস্নেহে বললেনঃ প্রিয় বতস! ও কথাটা আমার কাছে জিজ্ঞেস না করে অন্য কাউকে জিজ্ঞেস কর। কেননা, আমার চোখে তুমি সর্বাঙ্গ সুন্দর। তোমার প্রতি আমি যে ধারণা পোষন করি, তাতে তোমার গুণ ছাড়া কোন দোষই আমার নজরে পড়ে না।

শিক্ষাঃ যিনি ওস্তাদ তিনি হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। সকল ছাত্রদেরকে সমান নজরে দেখা উচিত। তারপরও যদি কোন ছাত্রকে অধিক ভালোবাসে তবে তার ভালোবাসা দ্বারা যেন ছাত্রের ক্ষতি না হয়।