এক বিজ্ঞ বিচক্ষণ জ্ঞানী গোপনে এক সুন্দরী নারীর রুপ মাধুর্যে মুগ্ধ আত্নহারা হয়ে পড়েছিলেন। প্রেম পাত্রীকে একদিন না দেখলে তিনি পাগলপ্রায় হয়ে যেতেন। ব্যাপারটা বেশি দিন গোপন রইল না। আস্তে আস্তে জেনে ফেলল সবাই। ফলে বিপক্ষ থেকে ঠাট্টা-বিদ্রপ ও অসংখ্য অত্যাচারমুলক আচরণ করা হতে লাগল। নিন্দা গ্লানিতে দেশ ছেয়ে গেল। সকল প্রকার অপবাদ, অপব্যবহার তিনি পরম ধৈর্যের সাথে নীরবে বরদাশত করতে লাগলেন; কিন্তু কিছুতেই প্রেমের মোহ ত্যাগ করতে পারলেন না।
একদিন তাকে সহানুভূতিসূচকভাবে সস্নেহে বল্লামঃ ভাই! জানি, আপনার ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ও পবিত্র, তা সত্ত্বেও আপনার মত একজন মর্যাদাশীল আলেমের পক্ষে নিজেকে এমন জাহেলদের হীন অপবাদ ও সমালোচনার পাত্র করা এবং অপদার্থ লোকদের ঠাট্টা-বিদ্রোপ সহ্য করা মোটেই শোভা পায় না। তুচ্ছ রুপের মোহ ত্যাগ করুন।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে তিনি বললেনঃ বন্ধু! আমাকে বৃথা বোঝাবার চেষ্টা করবেন না। আপনি আমার জন্য যা ভালো বিবেচনা করে বললেন, সে সম্বন্ধে আমি বহুবার চিন্তা করে দেখেছি। মোট কথা, তাকে না দেখার যাতনার চেয়ে তার পক্ষের দুর্ব্যবহারের কষ্ট সহ্য করা আমার পক্ষে অনেক সহজ। প্রবীন প্রেমিকেরা বলে গেছেনঃ বন্ধুর মুখদর্শন থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখার চেয়ে তার দুর্ব্যবহার বরন করে নেওয়ার জন্য বুক পেতে দেওয়া সহজতর।
শিক্ষাঃ জ্ঞানী আলেম লোকেরাও নারীর প্রেমে পড়ে আত্নহারা হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞানকে হারিয়ে ফেলে, ঠাট্টা-বিদ্রোপ সহ্য করা তার জন্য সহজ হয়। জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপদেশও তখন তার কোন কাজে আসে না। প্রবৃত্তিই মানুষকে এমন চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়।